নাটোরের কুরিয়াপাড়া নামক গ্রামে, নারদ নদের তীরে ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে মোহন লাহীড়ি নামে একজন ব্রাহ্মণ জমিদার বাস করতেন। এই গ্রামের মো. আমজাদ হোসেন সুরমা ফজলী আমের চারা বাগানে রোপণ করেছেন এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই আম রাজশাহী এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত বাণিজ্যিক সফলতা পায়নি। শৌখিন ব্যক্তিদের বাগানে শোভা পাচ্ছে।এই ফল দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশের উত্তরদিকের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পাওয়া যায়। আমের অন্যান্য প্রজাতির থেকে দেরিতে ফলে এই জাতটি। সাধারণত চাটনি ও আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফজলি আম। আকারে বেশ বড় আমের এই জাতের ওজন এক কিলোগ্রাম বা তারও বেশি হতে পারে। বাংলাদেশের উত্তরদিকের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ,নাটোর জেলা ফজলি চাষের জন্য বিখ্যাত। ফজলি আম বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।
ফজলি আম গড়ে লম্বায় ১৩.৮ সে.মি. চওড়ায় ৯.৫ সে.মি. উচ্চতায় ৭.৮ সে.মি. হয়। গড়ে ওজন হয় ৬৫৪.৪ গ্রাম। আমটি দীর্ঘ এবং ঈষৎ চ্যাপ্টা। পাকা আমের খোসা কিছুটা হলুদ হয়ে ওঠে। শাঁস হলুদ, আঁশবিহীন, রসালো, সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু ও মিষ্টি। খোসা পাতলা। আঁটি লম্বা, চ্যাপ্টা ও পাতলা। এই আমে শর্করার পরিমাণ ১৭.৫ শতাংশ। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে, বা মোটামুটি জুলাই থেকে ফজলি আম পাকে । গ্রীষ্মকালে এই ফল সবথেকে বেশি পাওয়া যায়। আমের ভিতরে অনেক প্রকারের জাত রয়েছে। অনেক আমের জাত রয়েছ যা কাঁচা কিংবা পাকা যেকোনো অবস্থাতেই খাওয়া যায়। কাঁচা আম খেতে দারুণ মজা লাগে। কাঁচা আমে বিভিন্ন প্রকার মসলা মিশিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। কাঁচা কিংবা পাকা আমের জুস খেতেও অনেক মজা লাগে।
আম সাধারণত গ্রীষ্মকালীন একটি ফল। মুখরোচক ফল হিসেবে আম কিন্তু অনেক জনপ্রিয় একটি ফল। স্বাদের দিক বিবেচনা করলে আম কাঁচা অবস্থায় টক এবং পাকা অবস্থায় প্রচুর মিষ্টি হয়ে থাকে। আম খেলে অনেক ধরণের উপকারিতা পাওয়া আমে রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাছাড়াও আমে রয়েছে কোয়েরসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন,অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, ফাইসেটিন, গ্যালিক এসিড ইত্যাদি। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো মানুষের শরীরের প্রোস্টেট ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। তাই ক্যান্সার নিরাময়ে আম গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। যায়।